আ হ জুবেদঃ কুয়েতে বাংলাদেশের নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান (এনডিসি,এএফডব্লিউসি,পিএসসি,জি) এর পরিচিতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার ৬ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় কুয়েতের মিসিলা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রোমে আয়োজিত পরিচিতিমূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন, নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আশিকুজ্জামান, দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, ডিফেন্স এটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবু নাসের, কাউন্সেলর (ভিসা-পাসপোর্ট) বিভাগ- জহিরুল ইসলাম খাঁন, দ্বিতীয় সচিব নিয়াজ মোর্শেদ, সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মো: জাকির হোসেন মজুমদার, প্রবাসী গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ সহ কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির নানা শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
দূতাবাস একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানে দূতাবাসের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন যেমন অত্যন্ত জরুরী, ঠিক তেমনই আপনাদের সহযোগিতাও দরকার, পরিচিতিমূলক সভার বক্তব্যে একথা উল্লেখ করে নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েতে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর এ দেশটিতে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রবাসীদের নানা সমস্যার কথা শুনেছি, আপনাদের সব সমস্যা সমাধানে দূতাবাস দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ, একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত কুয়েতে অবৈধ ভিসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠিন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ভিসা ব্যবসা যারা করছেন, তারা অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের সঙ্গে করছেন না। বরং ভিসা ব্যবসা করে আমরা আমাদেরই ক্ষতি করছি।
অতএব, ভিসা ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই, যদি দূতাবাস কাউকে ভিসা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়, তাহলে তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশে অকারণে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ বা অন্যদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকবেন। কাজকর্ম করে নিজ পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করুন।
তিনি বলেন, কারো ক্ষতি করতে যাবেন না, কেউ যদি আপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে দূতাবাস আপনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
তিনি আরো বলেন, কুয়েতের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে এক সংগঠনের মধ্যে একাধিক গ্রুপ। এ ধরনের জটিলতা দ্রুত সমাধানের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি প্রতি দুই মাস পর পর প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সেমিনার করারও অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাও যোগ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে প্রবাসীদের অনাকাঙ্খিত মৃত্যু, দেশে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসী ও কুয়েতে একটি বাংলাদেশী স্কুল প্রতিষ্ঠা বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রবাসীরা।